ঢাকা, ২৯ জুলাই (মনিকা সোহাগ): দান-সদকা করা আর্থিক ইবাদতের অন্যতম একটি রূপ। অসহায় ও দরিদ্র মানুষের জন্য দান করলে আল্লাহতায়ালা খুশি হন। তবে দানের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, তা যেন লোক দেখানোর জন্য না হয়। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে মুমিনরা, দানের কথা প্রচার করে এবং কষ্ট দিয়ে (খোঁটা দিয়ে) তোমাদের দান ওই ব্যক্তির মতো নিষ্ফল করো না, যে নিজের ধন-সম্পদ কেবল লোক দেখানোর জন্যই ব্যয় করে।’ (সুরা বাকারা ২৬৪)
লোক দেখানো দান আল্লাহতায়ালা পছন্দ করেন না। এটি লৌকিকতা বা প্রদর্শনপ্রিয়তা যা ছোট শিরক হিসেবে গণ্য হয়। হজরত রাসুল (সা.) বলেছেন, "আমি তোমাদের ব্যাপারে ছোট শিরক নিয়ে যতটা ভয় পাচ্ছি, অন্য কোনো ব্যাপারে এতটা ভীত নই।" সাহাবি জিজ্ঞেস করলেন, "হে আল্লাহর রাসুল! ছোট শিরক কি?" তিনি বললেন, "রিয়া তথা লোক দেখানো আমল।" (মুসনাদে আহমদ)
ইবাদতে তৃপ্তি এবং আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য প্রয়োজন একাগ্রতা ও রিয়ামুক্ত ইবাদত। গোপনে দান করা আল্লাহতায়ালার কাছে অত্যন্ত পছন্দনীয় একটি আমল। পরকালে গোপনে দানকারীদের জন্য বিশেষ পুরস্কারের সুসংবাদ দিয়েছেন। কিয়ামতের দিন আল্লাহর আরশের ছায়াতলে যে সাত শ্রেণির মুমিন আশ্রয় পাবে, তাদের অন্যতম হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি এমনভাবে গোপনে দান করেন যে, তার ডান হাত কি খরচ করে, বাম হাত তা জানতে পারে না। (সহিহ মুসলিম)
লোক দেখানো দানের কোনো সওয়াব নেই। দানের লক্ষ্য যদি হয় আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন, গুনাহ মাফ, মর্যাদা বৃদ্ধি এবং বিচার দিবসে সুপারিশের মাধ্যম, তবে তা কেন লোক দেখানোর জন্য হবে? সুতরাং আমাদের দান-সদকা করার একমাত্র উদ্দেশ্য হোক মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। তাহলেই পরকালে তা আমাদের কাজে লাগবে।